মহাকাশ সম্পর্কে মজার কিছু ফ্যাক্টস
মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের মহাকাশ জয়ের নেশা রয়েছে প্রতিনিয়ত মহাকাশ নিয়ে গবেষণা চলছে৷ মহাকাশ নিয়ে রয়েছে অনেক কৌতুহল রয়েছে অনেক চিন্তা ভাবনা। এই মহাবিশ্ব নিয়ে অনেক অজানা মজার কিছু টপিক রয়েছে। এমন কিছু অজানা মজার বিষয় আছে যা আপনি এর আগে কখনো শুনতে পারেনি।।
চলুন শুনে নেই সেই সব মজার সকল তথ্য
আপনি কি জানেন পৃথিবীর চাইতে সূর্য কতটা বড়?
প্রায় তিন লক্ষ গুন বড় হলো সূর্য
নদীর জোয়ার ভাটা আমরা সব সময় লক্ষ্য করি কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন নদীর জোয়ার ভাটা কেনো হয়।
নদীর জোয়ার ভাটা হয় চাঁদ এবং সূর্যের অভিকর্ষজনিত কারণে।
মহাকাশ |
মঙ্গল গ্রহে কোনো বস্তুর ওজন একে বারে কম থাকে। ধরুন আপনার পৃথিবীতে ওজন ২৫০ পাউন্ড তাহলে মঙ্গল গ্রহে আপনার ওজন হবে ৮২ - ৮৫ পাউন্ডের মত। পৃথিবীর কি বিচিত্র ফ্যাক্টস যা ভাবতেই অবাক লাগে।
পৃথিবী থেকে যখন নভোচারীরা চাঁদে গিয়েছিল তখন পায়ের ছাপ এবং টায়ারের ছাপ রেখে এসেছিলো। আপনি কি জানেন এই ছাপ গুলো আজীবন থেকে যাবে কারণ সেখানে কেউ যাবে না কিংবা সেখানে কোনো বাতাস নেই। চাঁদে কোনো বাতাস নেই তাই ধুলো বালি উড়ার কোনো কারণ নেই। এই চিহ্ন গুলো জন্ম জন্মান্তর প্রর্যন্ত থেকে যাবে।
সৌরজগতের উৎপত্তি ৪০০ কোটি বছর পূর্বে হয়েছিলো।
মহাকাশ |
সবচেয়ে উত্তপ্ত ভূখণ্ড গ্রহ হলো ভেনাস আপনি অবাক হবেন যে এই গ্রহের সাধারন তাপমাত্রাই থাকে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপরে। একবার ভাবুন তো আমাদের দেশে গরম কালে তাপমাত্রা ৩০/৪০ হলেই গরমে টিকতে কষ্ট হয় আর ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কতটা গরম হতে পারে।
আপনি কি ডায়নোসর সম্পর্কে কিছু জানেন কিংবা কখনো কি শুনেছেন। ডায়নোসর কেনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল বা কেন তারা আজকে নেই। অনেক বিজ্ঞানীদের ধারনা মহাকাশ থেকে উল্কা ভূপৃষ্ঠে পরে সকল ডায়নোসর মারা গিয়েছিল। আসলে কি তাই হতে পারে যদি সেটাই হয় তাহলে আমাদের পৃথিবীতে ও পরতে পারে। উল্কা বা গ্রহানু যদি ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় তাহলে কি হতে পারে আমাদের।
মহাশূন্যে টয়লেট করা
মহাশূন্যে যাওয়ার সময় ফ্রাঙ্ক বোরম্যান তার টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার পাইলট হিসাবে ছিলেন জেমস লেবেল এবং উইলিয়াম অন্ড্রাস। তাদের মিশনের সময় হঠাৎ ফ্রাঙ্কের পেট খারাপ শুরু হয়ে যায়। তখন ফ্রাঙ্ক হঠাৎ করেই বমি করে দেন এবং টয়লেট করে দেন । তার টয়লেট গুলো ভাসমান অবস্থায় ছিলো পরবর্তীতে ভাসমান অবস্থায় টয়লেট পরিষ্কার করেছিলেন।
মহাকাশ |
নিল আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন কে সবাই চিনেন হয়তো তারা ছিলেন চাঁদে অবতারণকারী প্রথম মানব জাতি। তারা যখন চাঁদ থেকে পৃথিবীতে এসেছিলো তখন তাদের ২১ দিনের মত আলাদা রুমে আটকে রাখা হয়েছিলো। আপনি কি জানেন কেনো তাদের আঁটকে রাখা হয়েছিলো। চাঁদ থেকে যাতে কোন জীবানু মানব জাতির ভিতরে না ছড়ায়। অর্থাৎ চাদের কোনো ক্ষতিকর জীবানু যদি মানুষের ভিতরে ছড়িয়ে পরে তাহলে অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এমন কিছু যেনো না হয় তাই এই কাজটি করা হয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে প্রমাণ হয়েছিলো যে চাঁদে কোনো প্রানের অস্তিত্ব নেই।
মহাকাশে গন্ধ
মহাকশে গন্ধ এটু শুনলে হয়তো আপনি হেঁসে উঠবেন বলবেন যেখানে মানুষ নেই আলো বাতাস নেই সেখানে আবার কিসের গন্ধ। অনেক মহাকাশ নভোচারী একটু ভিন্নমত দিয়েছেন তাদের মতে মহাকাশে গন্ধ রয়েছে। মহাকাশে ধাতব একটা গন্ধ পাওয়া যায় যা ধোঁয়া এবং ধাতব কিছু মিলানো। অনেক নভোচারীর দেয়া তথ্য মতে নাসা এমন গন্ধ তৈরী করতে চেয়েছিলো কিন্তু ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই আসেনি। এমন কিসের গন্ধ যা আজও নাসা চেষ্টা করে পারেনি।মহাকাশ |
0 Comments